বান্দরবানের দুই উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বাড়লো নবম বারের মতো। আইনশৃঙ্খলা-বাহিনীর সন্ত্রাসী দমন অভিযান চলবে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ফলে বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।
বিগত এক মাস ধরেই বান্দরবানে চলছে আইনশৃঙ্খলা-বাহিনীর সন্ত্রাস দমন অভিযান।
ফলে পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় ৯ম বারের মতো জারি হয় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা।
ভরা পর্যটন মৌসুমে দুই উপজেলায় নিষেধাজ্ঞার ফলে গোটা বান্দরবানেই কমে গেছে পর্যটক। অলস সময় পার করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও কর্মী ও পরিবহন শ্রমিকরা। তাই এবারও করোনা-কালীন সময়ের মতো লোকসানই গুনতে হবে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
অপরূপ সবুজ পাহাড় ঘেরা বান্দরবান। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পর্যটন মৌসুমে দেশ বিদেশ থেকে ছুটে আসেন হাজার হাজার পর্যটক। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার কারণে বান্দরবানে পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। পরে এটি শুধু রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় সীমাবদ্ধ করা হয়। এই ২ উপজেলায়ও কয়েক-দফা বাড়ানো হয় নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু এর প্রভাব পড়েছে গোটা বান্দরবানের পর্যটন ব্যবসায়।
হোটেল-মোটেল গুলোতে আগাম বুকিং বাতিল করেছেন পর্যটকরা। বর্তমানে একরকম পর্যটক শূন্য নগরী বান্দরবান। অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
পর্যটক না আসায় ব্যাপক লোকসান হচ্ছে বলে জানান হোটেল মালিক সমিতির নেতারা। তাদের মতে, সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা-হীনতায় ভুগছে পর্যটকরা। ফলে এই সময় কেউ বান্দরবনে আসতে চাচ্ছে না। যে কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।